বেগম শহরাজাদ কিস্সার পরবর্তী অংশ শুরু করতে গিয়ে
| বললেন—'জাঁহাপনা, নিগ্রোদের মধ্যে সাবার নামে এক নিগ্রো তার
খোজা হবার কাহিনী শুরু করল—-শোন, তখন আমি মাত্র পাঁচ
সালের লেডকা। আমার আব্বা আর আম্মা তখন আমাকে
বাগদাদের বাজারে নিয়ে গিয়ে বেচে দেয়। আমাকে কেনে
সুলতানের দেহরক্ষী। তার একটি পেড়কি ছিল, তখন তার ওমর
তিন সাল।
আমার কাজ ছিল মালিকের ঘর দুয়ার সাফসুতরা রাখা। আর
ভদ্র বেটির সঙ্গে কাজের ফাঁকে খেলকুদ করা। আর আমরা এক
সঙ্গে গানা করতাম, পাচতাম—আর কত কি মজার মজার কাণ্ড
করতাম বলে শেষ করা যাবে না।
এক সময় আমার ওমর হ’লৈ বারো সাল আর তার দর্শ। তখন
কেলি আমি গুলতি দিয়ে পাখি শিকার করছিলাম। এক লেড়কী
এসে অতর্কিতে আমার চোখ দুটো চেপে ধরল। আমি বুঝেও না
রোবার ভান করলাম। আমার পিঠের সঙ্গে তার বুক আর
তলপেটটি ক্রমে সেপ্টে গেল। সদ্য উকি দেওয়া তার ছোট্ট স্তন
ফুটোর স্পর্শ আমি স্পষ্ট অনুভব করতে লাগলাম। সে আরও
| ভোরে আমার পিঠে চাপ দিল। বুঝলাম, তার স্তন দুটো আমার
গিঠের চাপে পিষ্ট হওয়াতে সে মনে-মনে রোমাঞ্চ অনুভব করছে।
আমি তার দিকে ঘাড় না ঘুরিয়েই তার তুলতুলে নরম হাতদুটোকে
বার বার দলাই মালাই করতে লাগলাম। এক অনাস্বাদিত মধুর
অনুভুতিতে আমার সর্বাঙ্গ অবশ হয়ে আসতে লাগল শিরায় শিরায়
কিন্তুতের শিহরণ খেলে গেল। কেবল আমার কথাই বা বলি কেন
লেড়কীটির অবস্থাও আমার ১৩ সঙ্গীন হয়ে পড়াই স্বাভাবিক।
কারো মুখে কোন কথা নেই। নীরবে অনুভূতির মাধ্যমে চাওয়া ও
পাওয়া সাধ্য মত মিটিয়ে নিচ্ছিলাম উভয়েই। তাকে ছাড়ার ইচ্ছা
বা ক্ষমতা কোনটিই আমার ছিল না। তারও ইচ্ছা ছাড়াছাড়ি না হয়ে
আমার গায়ের সঙ্গে আরও ঘনিষ্টভাবে লেপ্টে থাকে।
আমি আর ত'র হাত দুটো নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারলাম না।
ক্রমশঃ আমার হাত দুটো সরীসৃপের মত তার হাত দুটো বেয়ে
ওপরে উঠে তার গলায় গিয়ে কয়েক মুহূর্তের জন্য স্থির হ'ল।
তারপরই নিচের দিকে নামার জন্য হিসপিস করতে লাগল।
নালও দু'এক ইঞ্চি। বাস, কিভাবে, কি হয়ে গেল বুঝলাম না।
সে বাতাসে এক ঝাঁক হাসি ছড়িয়ে দিয়ে আমার বাহু বন্ধন থেকে
এক ঝটকায় নিজেকে মুক্ত করে নিল। তারপরই পিছন ফিরে
দৌড়ে পালাল।
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তার দিকে তাকালাম। যা ভেবেছি ঠিক তাই,
সে বেশী দূর গেল না। হয়ত বা তার শরীর ও মন দু'-ই প্রতিবন্ধক
হয়ে দাঁড়াল। নইলে সামান্য এগিয়েই একটি মোটাসোটা গাছের
ওঁড়ির ওপর গা এলিয়ে দেবে কেন? আমি ছুটে গিয়ে তার ওপর
ঝাঁপিয়ে পড়লাম। তারপরই শুরু হয়ে গেল জাপ্টাজাপ্টি। সে
আমাকে দু'বাহুর বেঈনীতে আবদ্ধ করে ফেলল। আমিও সজোরে
তাকে চেপে ধরলাম আমার বুকের মধ্যে। আমাকে যেন আদিম
হিংস্র পাশবিকতা পেয়ে বসল। সে যে কি করতে, কি করলে চরম
তৃপ্তি লাভ করবে ভেবেই পাচ্ছিল না। নইলে আমার ডান হাতে
সজোরে কামড় বসাতে যাবেই বা কেন। দুটো দাঁত বসে গেল
আমার হাতে। তিরতির করে রক্ত বেরোতে লাগল। গ্রাহ্যই করলাম
না। আমিও কামোন্মত্ত নেকড়ের মত তাকে চুম্বন করতে গিয়ে তার
নিচের ঠোঁটটি কামড়ে ধরলাম। কতক্ষণ এ-অবস্থায় ছিলাম বলতে
পারব না। আমি তার সরু কোমরটাকে দু'হাতে জড়িয়ে ধরে আমার
আরও কাছে আনার চেষ্টা করলাম। সে মোচড়ামুচড়ি দিতে লাগল।
আবার শুরু হ’ল ধস্তাধক্তি। আচমকা আমার হাতের চাপে তার
কামিজটির বেশ কিছুটা অংশ ছিঁড়ে গেল। যৌবনের জোয়ার
আসার পূর্ব মুহুর্তের দৃশ্য প্রথম আমার চোখে পড়ল। সে এক
ঝটকায় হাত দু'টো বুকের কাছে তুলে নিয়ে বুকটাকে ঢাকবার ব্যর্থ
চেষ্টা করতে লাগল।
আমাদের কারোর হুঁস ছিল না যে আকাশে মেঘ জমতে জমতে
| কখন যে পুরো আকাশটিকে ছেয়ে ফেলেছে। মুহূর্তে ঝড় উঠল,
প্রবল ঝড়। তারপরই শুরু হয়ে গেল মুষলধারে বৃষ্টি। আমরা
কতক্ষণ জল-ঝড় উপেক্ষা করে সে গাছের গুঁড়িটির ওপর
পড়েছিলাম আজ আর তা মনে করতে পারছি না।
লেড়কিটির ছেড়া কামিজটা ভিজে একেবারে জবজবে হয়ে
গিয়েছিল। দু'হাতে তার ছেড়া অংশটুকু জাপ্টেজুপ্টে ভীত সন্ত্রস্ত
মনে বাড়ি ঢুকল। তার আম্মা খুবই বুদ্ধিমতী। লেড়কির চোখ-মুখ
ও ছেঁড়া কামিজ দেখে ব্যাপার বুঝতে ভুল হ’ল না। তার
লেড়কিটিও আম্মার রক্ত চক্ষুর দিকে তাকিয়ে কিছুই গোপন
করতে পারল না। তবে তার আম্মা বকাঝকা করে লোক জানাজানি
করার চেয়ে চেপেচুপে রাখতেই বেশী আগ্রহী হ'ল।
লেড়কিটির আব্বা ছিল খুব বদরাগী। সে রেগে গেলে
কোনদিকে তার হুঁস থাকত না। আমি তো ভাবলাম, আমার সঙ্গে
সঙ্গে তার লেড়কিরও গর্দান নিয়ে ছাড়বে।
তার আম্মা লেড়কির শাদীর জন্য উঠে পড়ে লেগে গেল।
এক নাপিতের লেড়কার সঙ্গে শাদীর কথাও চলছিল। তড়িঘড়ি
তার সঙ্গে যোগাযোগ করল শাদীর দিন পাকা করে ফেল্ল।
লেড়কিটি অদ্ভুত এক আব্দার করে বসল। শাদী করতে সে
রাজি আছে বটে। কিন্তু আমাকে তার সঙ্গে যেতে হবে। তার আম্মা
পড়ল মহাফাঁপরে। এখন উপায়? সহজেই এক উপায়ও বের করে
ফেল্ল। এক সকালে নাপিত ডেকে আনা হ'ল। আমি এসবের
কিছুই জানতম না। নাপিত এলে আমাকে হঠাৎ পিঠ-মোড়া করে
বেঁধে ফেল্ল। তারপর খোজা করে দিল আমাকে। লেড়কিটির
শাদী হয়ে গেল। তাকে দেখভাল করার জন্য আমাকেও তার
শ্বশুরালে পাঠিয়ে দিল। আমি বহুৎ দিন সেখানে ছিলাম। এক সময়
তার আম্মা ও আব্বা এক এক করে বেহেস্তে চলে গেল। কিছুদিন
| বাদে তার স্বামীটিও দুনিয়া ছেড়ে চলে গেল।
তারপর আমি সুলতানের প্রাসাদে নোকরি পেয়ে গেলাম। বাস,
পাকাপাকি ভাবে এখানেই দিন কাটাচ্ছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
জয় গুরু
বিশুদ্ধ প্রচারের স্বার্থে -
আপনার যে কোন মন্ত্যব, অভিযোগ, অনুরোধ আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান। ...