কাফুর নামে নিগ্রো যুবকটি তার খোজা হবার কিস্সা বলার পর
এবার বুখাইত নামে এক যুবক একটু নড়ে চড়ে বসে তার কিস্সা
শুরু করল। সে বল্ল – আমার খোজা হবার কিস্সা তোমাদের
কাছে তুলে ধরছি। সত্যি বলতে কি, আমার জীবনের ঘটনা যেমন
এলোমেলো তেমনি খুবই দীর্ঘও বটে। তবে কাটছাঁট দিয়ে সাধ্যমত
অল্প কথায় বলছি। আমি এক বাড়ি ক্রীতদাসরূপে থাকতাম।
আমার মালকিনটির বয়স ছিল কম। ছিমছাম চেহারা। যাকে বলে
একেবারে ডাঁসা পেয়াবার মত। আমি কাজের ফাঁকে তাঁর দিকে
আঁড় চোখে তাকিয়ে থাকতাম। চেষ্টা করতাম তাঁর মনের খবর
নিতে। সে তাঁর শরীরের যৌবনচিহ্নগুলো ঢেকেঢুকে রাখলেও
মাঝে মধ্যে তার কাপড় চোপড় কেমন বেসামাল হয়ে পড়ত। তার
নিটোল স্তনদুটোর এক বিরাট ভগ্নাংশই কামিজের ফাঁক দিয়ে উঁকি
মারত। আসলে সে দুটো ছিল এতই বড় যে কামিজের তলায় বন্দী
হয়ে থাকতে চাইত না। বিদ্রোহ করত। আমার সুযোগ সন্ধানী চোখ
দুটো সে-সুযোগের প্রতীক্ষায় সর্বদা ছোঁক ছোঁক করত। আর থেকে
থেকে আমার খুনে ধরে যেত মাতন। নিজেকে আর সংযত রাখা
আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ত। একদিন আমার মালিক এক
জরুরী কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। আমরা দুটোমাত্র প্রাণী বাড়িতে।
আমার মাথার দুষ্ট পোকাগুলো কিলবিলিয়ে উঠল। আমার কুড়ি
বছরের যৌবনকে আর নিজের হাতের মুঠোর মধ্যে রাখতে
পারলাম না। অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়লাম মালকিনের ওপর।
তারপর কি হ'ল আশাকরি আর খুলে বলার দরকার নেই।
সেদিনের সে সাময়িক আনন্দানুভূতিই আমার কপাল পোড়ার
একমাত্র কারণ।
আমার মালিক বাড়ি এসে সবকিছু শুনলেন। আমাকে নিয়ে
ছোট্ট এক কামরায় তালাবন্ধ করে রেখে দিলেন। পরদিন সকালে
নাপিত এসে পুরুষের যা অমূল্য সম্পদ সেটি ছেদন করে আমাকে
সারা জীবনের মত খোজা করে দিল।
আমার জীবনের দুঃখের কিস্সা যদি আরও খোলাখুলি
শুনতেই চাও পরে না হয় একদিন সুযোগ-সুবিধামত শোনাব। আজ
চল। কোদাল চালিয়ে গর্ত করার কাজটি সেরে ফেলা যাক।
এবার তিন নিগ্রো যুবক বাক্সটির মাপে একটি গর্ত খোঁড়ার
কাজে উঠে পড়ে লেগে গেল। কঠোর পরিশ্রম করে বাঞ্ছিত গর্তটি
খুঁড়ল। তারপর ধরাধরি করে তার মধ্যে বাক্সটি ঢুকিয়ে দিল। ব্যস্ত
হাতে মাটিচাপা দিল। তারপর তারা কোদাল আর লণ্ঠনটি নিয়ে
গোরস্থান ছেড়ে গেল
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
জয় গুরু
বিশুদ্ধ প্রচারের স্বার্থে -
আপনার যে কোন মন্ত্যব, অভিযোগ, অনুরোধ আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান। ...