খলিফা অল-মুসতানসির বিল্লাহ নাপিতের চতুর্থ ভাইয়া অল-
কুজ-এর কিস্সা শুনে বিস্ময়বোধ করলেন।
নাপিত এবার বল্ল——‘হুজুর, আপনাকে আর কিছুক্ষণ ধৈর্য
ধরতেই হবে। এবার আপনাকে আমার পঞ্চম ভাইয়া অল-আসারের
কিস্সা শোনাতে চাই। তবে কথা দিচ্ছি, আমি সাধ্যমত সংক্ষেপে
আমার কিস্সা শেষ করব।'
খলিফা অল-মুসতানসির বিল্লাহ মুচকি হেসে বললেন—'তুমি
যখন অল আসার-এর কিস্সা না শুনিয়ে ছাড়বেই না তবে
তাড়াতাড়ি শুরু কর। তবে খেয়াল থাকে যেন সংক্ষেপে তোমার
কিস্সা শেষ করবে।
—জী হুজুর। অল-আসার-এর শরীরের তুলনায় পেটটি ছিল
ইয়া বড়। মনে করতে পারেন ছোটখাটো একটি মাটির জালা তার
পেটের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বেশী নড়াচড়া করলে যেন
জালাটি খসে পড়ে যাবে এমন ভাব নিয়ে সে ধীর-মন্থর গতিতে পথ
চলত। প্রায় সারাদিন চোখ বন্ধ করে চৌকির ওপর পড়ে থাকত।
আমাদের অব্বা যে পরিমাণ নগদ অর্থ রেখে গিয়েছিলেন তা ভাগ
বাটোয়ারা করে প্রত্যেকে মাথাপিছু একশ' দিরহাম পাই। অনেক
ভেবে অল-আসার কাচের বাসনপত্রের কারবার শুরু করল। গলির
মোড়ে পসরা সাজিয়ে বসল। একদিন দোকানে বসে সে ভাবতে
লাগল একশ' দিরহাম দিয়ে মালগুলি খরিদ করেছি। কম করেও
দু' শ' দিরহাম তো বিক্রি হবেই। তখন পুঁজি হবে দুশ' দিরহাম।
বিক্রি করব চার শ' দিরহামে! এভাবে মূলধন বেড়ে যখন মেটি৷
অঙ্কে দাঁড়াবে তখন কাচের কারবার ছেড়ে দিয়ে আতরের কারবারে
নেমে পড়বে। সে এর-ওর মুখে শুনেছে এক দিরহামের আতর নাকি
পাঁচ দিরহামে বিক্রি হয়। আর এ-ও ভাবল তখন আর গলির মোড়ে
দাঁড়িয়ে বাসনপত্রের দোকানে ষাঁড়ের মত চেঁচাবে না। 'আতর নেবে
গো......আতর নেবে গো।' একটি বড়সড় ঘর নিয়ে রীতিমত দোকান
খুলে বসবে। তার ভাবনা কিন্তু এখানেই থমকে গেল না। মোটা
লাভে কিছুদিন আতর বিক্রি করে মূলধন এক সময় এমন জায়গায়
গিয়ে দাঁড়াবে যখন সে অনায়াসে একটি হাতী কিনে ফেলতে
পারবে। সে কিনবেও তা-ই। তারপর দেখনাই একটি ইমারত
কেনার ইচ্ছা আছে। দারোয়ান, পরিচারক ও পরিচারিকারা সর্বদা
তার হুকুম তামিল করার জন্য অবশ্যই সতর্ক থাকবে। পরিচারকদের
কেউ থাকবে অন্দরমহলে আবার কেউ বা বাইরের কাজকর্মে লিপ্ত
থাকবে। দেশ-বিদেশ থেকে খুবসুরৎ সব বাঈজী এসে নাচবে।
বসবে ওস্তাদী গানের আসর। আর শাদী ও হো. উজিরের খুবসুরং
লেড়কি ছাড়া অমাত্য টামাত্যের লেড়কির তো প্রশ্নই ওঠে না।
কেনই বা রাজি হবে। ধনদৌলতের দিক থেকে সে যেমন আমীর
বাদশার তুল্য বিবেচিত হবে তেমনি ঝকঝকে চকচকে পোশাকেও
সেজেগুজে থাকবে। এমন কি ঘোড়ার জিনেও হীরে-মুক্তো, মণি-
মাণিক্য ব্যবহার করবে সে। আর নগরীর সেরা মণিকারকে দিয়ে
বানাবে গহনাপত্র যা দেখে কেউ-ই চোখ ফেরাতে পারবে না। মাঝে-
মধ্যে ক্রীতদাস পরিবেষ্টিত হয়ে বেরোবে নগর পরিক্রমায়।
যাতায়াত করবে উজিরের সমতুল্য ব্যক্তিদের প্রাসাদে। তারা ব্যস্ত
হয়ে এগিয়ে এসে কুর্ণিশ করে সুসজ্জিত কামরায় নিয়ে বসাবে।
সমাদর করবে সাধ্যাতীত।
সে কাকে শাদী করবে, কবে শাদী করে বিধিকে ধরে আনবে
তা সে নিকেই নির্ধারণ করবে পেড়শির আধারা তাকে বন্যাদান
| করার জন্য ঘুর ঘুর করবে। সে পাত্রীর আব্বাকে সাফ কথা জানিয়ে
দেবে, শাদীর যাবতীয় খরচ খরচা সে-ই করবে। ঋলমলে পোশাক
আর হীরে-জহরতের সাক্রে তার বিবি সলজ্জ মুখটিকে মংমলের
চেয়েও মূল্যবান ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখবে! রূপসী যুবতীর রূপের
আভায় চোখ ঝলসে দেবে। আমার বিবিকে ডাক নজরে দেখলেই
মনে হবে বুঝি বেহেস্ত থেকে কোন স্ত্রী পরী বুঝি জমিনে নেমে
এসেছে। শাদীর প্ল সে সেজেগুজে তাঁর সামনে তাঁর রূপের পসরা
নিয়ে দাঁড়াবে। নানা ছলাকলার মাধ্যমে তার মন জয় করার জন্য
গণাতীত প্রয়াস চালাবে। তার দিকে চোখের বাণ মারবে। কতির
অনুরোধ জানাবে। সে নীরব থাকবে। আচার-আচরণে এমন ভাব
ফুটিয়ে ভুলবে যেন তার মত কত সব রূপসী অতীতে রূপ যৌবন
দান করে জীবন ধন্য করার জন্য উদগ্রীব হয়েছিল। সে পাত্তাও দেয়
নি
বেগম শাহরাজাদ কিত্সার এ-পর্যন্ত বলার পর ভোরের
পূর্বাভাস পেয়ে कंিস ব কর।ে
বত্রিশতম রজনী
রাত্রি একটু গভীর হলে বাদশাহ শারিয়ার অন্দরমহলে এলেন।
গেহম শহরাজাদ তাঁর কিস্সর পরের অংশ শুরু করলেন—
জাঁহাপনা, নাপিত্ত তার পঞ্চম ভাইয়া অঙ্গ আসার এর কি হলে
চল—'আমার ভাইয়া ৬াল আসার তার কাড়ের হাসাপত্র সাজিয়ে
ভবিষ্যতের স্বপ্নে মাছে রইল। সে এবার ভাবছে, বাসর ঘরের
যাবতীয় স্ত্রী-আচার মিটে গেলে সে নফরকে একটি রেফাবিতে পাঁচ
শ' সোনার মোহর এনে তার সামনে এসে দাঁড়াতে বলবে। সেগুলো
তাচ্ছিলোর সঙ্গে সে ঘরময় ছড়িয়ে দেবে। তা কৃড়েনি'র জন্য বাসর
ঘরে উপস্থিত সবাই ছুটোছুটি দাপাদাপি শুরু করে দেবে। পাশের
ঘরটি তাদের ফুলশয্যার ডানা সুন্দর করে সাজানো থাকবে। জানারা
তাকে আর সদ্য শালীকরা বিবিকে নিয়ে সে-ঘরে যাবে। বিবিধ
সহচরীরা শ্রদ্ধা-ভক্তিতে গদগদ হয়ে তাকে কুর্নিশ করবে। আর সে
তাচ্ছিল্যের সঙ্গে তাদের অগ্রাহ্য করে ঘরের ভেতরে ঢুকে যাবে।
তাদের একজন ব্যস্ত হয়ে গুলাবী সরবৎ এনে তার সামনে ধরবে।
তার বিবি তখন তাকে বুকে পাওয়ার জন্য ক্রমেই অধৈর্য হয়ে
উঠবে। সে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তার অনুনয় বিন্যকে এড়িয়ে
চলবে। নিরাসও ভাব দেখাবার উদ্দেশ্যে থাকবে এই যে,
রূপসীদের প্রতি তার কোন মোহই নেই। গোড়াতেই যদি তার বিবি
বুঝতে পারে যে, তার রূপ আর যৌবন দেখে সে পাল তবে তো
সর্বনাশের চূড়ান্ত হয়ে যাবে। ষণ্ড কষ্টই হোক নিজেকে সে সংযত
রাখবেই।
তার অনীহা দেখে তার শাশুড়ি ব্যস্ত হয়ে ছুটে এসে কাত্তর
মিনতি জানাবে। কাঁদো কাঁদো পরে বলবে 'বাদা, আমার লেড়কি
নিষ্পাপ-নিষ্কলঙ্ক। কোন পাপই তার সতীত্বকে নষ্ট করতে পারে নি।
কোন পুরুষকে সঙ্গদান করা তো দূরের কথা কেউ তার পবিত্র
কুমারীত্বের দিকে হাত পর্যন্ত বাড়াতে পারে নি। যাও বাছা, আমার
লেড়ক্লিকে বুকে টেনে নাও, শয্যাসঙ্গিনী কর। তার যৌনসুধা পান
E করে নিজে তৃপ্ত হও, তাকেও সুখদান কর। তার বিবির দু' গাল বেয়ে
চোখের পানির ধারা নেমে আসবে। চোখের ভাষায় তার মধ্যে
কানতৃষ্ণ জাগাবার জন্য তৎপর হয়ে উঠবে। সে বিরক্তি প্রকাশ
করবে। শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে সে বিবিকে সজোরে এক পাখি
মারবে। ব্যস, তন্দ্রা ভাব কেটে গেল। বিধিকে এমন জোরে এক
এলাহি মারবে যে সে ছিটকে কয়েক হাত দূরে গিয়ে পড়বে।
=
7
লাছি সে মারল বটে। কিন্তু তার লাধি তো গোয়াবে দেখা,
এলঙ্কিত বিবিকে অবশ্যই নয়। আসলে লাথি মারল তার দোকানের
কাচের জিনিসপত্রের গায়ে। কাজ যা হবার তা হয়েই গেল।
বাসনপত্র ভেঙেচুরে এসার হয়ে গেল। একেবারে লশুভশু হয়ে
গেল তার দোকান। পুঁজি গেল বাদ হয়ে সব খতম! জন পেটে
কিল মেয়ে উপোষ করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। স্বপ্ন আর বাস্তবে যার
আসমান-জমিন ফারাক তার নসীবে এ রকমটিই ঘটে থাকে। অব
আসর মাথায় হাত দিয়ে ভাঙাচোর! বাসনপত্রের দিকে তাকিয়ে
চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলো।
3
1
j
3
1
5
আমার ভাইয়া অল-আসার যখন সবকিছু খুঁইয়ে কেঁদে আকুল
হচ্ছে তদন এক সম্ভ্রাপ্ত পরের জন্যন্য পরিচারিক পরিবেষ্টিত হয়ে
সে পথ দিয়ে যাচ্ছে। তাকে কাঁদতে দেখে তিনি থমকে দাঁড়িয়ে
পড়লেন পরিচারিকাকে বললেন—―একটু এগিয়ে গিয়ে ব্যাপারটি
দেখে আসার জন্য পরিচারিকটি ফিরে এসে জানাল~-যুবকটি
= গলির মোড়ে দোকান সাজিয়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় স্বপ্ন দেখছিল।
স্বপ্নের ঘোরে পাখি মেরে দোকানের জিনিসপত্র ভেঙে চুরমার করে
র দিয়েছে। পূক্তি খতম, তাই কেঁদে আকুল হচ্ছে।
1
1
7
সম্ভ্রান্ত মহিলাটি পরিচারিকাকে কিছু সোনার মোহর দিয়ে
। বললেন—'এক কাজ কর, এগুলো তাকে দিয়ে এসো। আর বোলো
যেন আবার নতুন করে দোলান মাড়িয়ে নেয়।'
S
1₂
ऩ
পরিচারিকাটি আমার ভাইয়া হল-আসারকে পাঁচ শ' সোনার
মোহর দিয়ে বলল এগুলো রাখ। এ দিয়ে আবার তোমার দোকান
সাজিয়ে বসে!।'
অল-আসার এক সঙ্গে পাঁচ শ' সোনার মোহর এর আগে
কোনদিন দেখে নি। সে ভাবল, এবার আমি আমীর আদমি বনে
= গিয়েছি।
ব্যস, সবার আগে সুন্দর একটি মকান ভাড়া করে ফেল্ল সে।
এক দুপুরের আগে শুয়ে ভাবছে, কি ধরনের ব্যবসা ফাঁদবে।
কতরকম ব্যবসার কথাই না ভাবল। কিন্তু কোন ব্যবসাই মনে ধরছে
না। এমন সময় দরজার কড়া নড়ে উঠল। দরজা খুলেই এক বুড়ির
| মুখোমুখি হ'ল। চেনা জানা তো দূরের কথা এর আগে কোনদিন
সে তাকে দেখেছে বলেও মনে হ’ল না।
বুড়িটি বল্ল—‘বাছা, আজ জুম্মাবার। দুপুরের নামাজের সময়
হয়ে এসেছে। তোমার এখানে নামাজটি সেরে নিতে চাচ্ছি।'
অল-আসার বুড়িকে ভেতরে নিয়ে গেল।
বুড়ি নামাজ সারল। আমার ভাইয়া ধর্মপ্রাণা বুড়ির ধর্মের প্রতি
প্রগাঢ় আসক্তি দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে দুটো সোনার মোহর দিতে
চাইল। বুড়ি আপত্তি জানাল। বল্ল-— 'বাছা, মোহর দুটো যদি
নিতান্তই দিতে চাও তবে যার কাছ থেকে নিয়েছিলে তাকেই না হয়
ফেরৎ দিয়ে দাও। আমার এসবের দরকার নেই।'
অল-আসার তো বিস্ময়ে একেবারে হতবাক হয়ে যাওয়ার
জোগাড়। ভাবল—সে কী! আমার কথা বুড়িটি জানল কি করে!
‘আচ্ছা বল তো, সে কি তোমার পরিচিতা ? তার সঙ্গে আমার পরিচয়
করিয়ে দিতে পার? এ কাজটুকু করে দিলে বড়ই খুশী হতাম।'
———সে-রূপসী তোমাকে সোনার মোহরগুলো কেন দিয়েছিল,
বলতে পার? তোমার উমর দেখে। তোমার যৌবনই তার কাছে
একমাত্র কাম্য। আল্লার দোয়ায় ধন দৌলত সে প্রচুরই পেয়েছে।
কিন্তু তার স্বামীটি একেবারেই অক্ষম। ধ্বজভঙ্গ। এমন এক
ভরাযৌবন যার দেহে তার বরাতের কথা একবার ভেবে দেখ! কাম-
পিপাসা তাকে কুরেকুরে খাচ্ছে। কিন্তু স্বামী তার কামলালা নিবৃত্ত
করতে অক্ষম। আল্ল’হর কী নির্মম পরিহাস। তার রূপ-যৌকা সবই
ব্যর্থ। তার কাছে তোমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্যই অমি এসেছি। চল,
চট করে বেরিখে পড় বাছা।
আমার ভাইয়ার কলিজাটি তিরভির করে নাচতে লেগে গেল।
খুশীতে একেবারে ডগমগ হয়ে পড়ল। সেদিন এক পলকে তাকে
চোখে দেখার পর থেকে বড়ই মর্মপীড়' বোধ করছিল। আল্লাহ-ই
অান্ত সে সুযোগ করে দিয়েছেন।
বুড়িটি তাকে নিয়ে তার খোয়াবের বিবি, তার মধুমিতার বাড়ির
দিকে হাঁটতে লাগুক সে হাঁটতে হাঁটতে বল্ল – 'আমি বহুতদিন
তাঁর এখানে নোফার করছি। সে চায় কথ কম, কাভ চায় বেশী।
তোমার যৌবনশক্তি কৰি তাকে তৃপ্তি দিতে পারে শুনবে তেমার
নসীব করে গেছে। রুপার যৌবনের জোয়ার লাগা শরীরটিই
কেবল নয়। অগাধ ঐফর্ষঃ তোমার হাতে চলে আসবে।'
—অম্ল-আসার-এর কলিজাটি চনমুনিয়ে উঠল। সে আপন মনে
বলে উঠল—কায় খোদা! আমার যৌবনের এত যে দাম আগে তো
কোনদিন জানতাম না। লেডফিটিকে তৃপ্তি দিতে পারলে সারা
জিন্দেগী পায়ের ওপর পা তুলে কাটানো যাবে। রূপমীটিকে খুশী
করার জন্য তানি কিছুমাত্র কসুর করব না।
বুড়ি একটি বিশালয়ন মানের সম্মনে এসে দাঁড়ায়। বিশেষ
এক কায়দায় দরজার কড়া নাড়ল। সঙ্কেত ধ্বনিও বলা যেতে পারে।
এক গ্রীক নোকরানী দরক্তা হলে তাদের ভেতরে নিয়ে গেল। ঘরের
এস<<পত্র থেকে শুরু করে দরকার পর্দাটি পর্যন্ত সব কিছুতে
ঐশ্বর্যের সুস্পষ্ট চিহ্ন। মহমক্কোর পর্দা ঠেশে এক অষ্টাদশী ঘরে
ঢুকল। তাঁর রাপের আড্ডায় পুরো ঘরটি যেন হঠ'হ ঝলমলিয়ে
উঠল। তার রূপের খরাযথ বর্ণনা দেওয়ার মত ভাষা আমার নেই
ভাঁজ পলা। তার সেই চোখের তারায় বিস্ময়ের দ্বাপ এঁকে চেয়ে
রইল! চোখের পাতা পর্যন্ত পড়ছে না।
বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না জাঁহাপনা, লেড়কিটি একেবারেই
বে শরম। লজ্জা শরম কাকে বলে জানা নেই। ঘরে ঢুকেই অমার
ভাইয়া অম্ল-আসারকে চোখের বাণ মেরে বসল। নিজে হাতে
দরক্তাটি বন্ধ করে তার পাশে একেবারে গা-ঘেঁষে বসে পড়ল। সোন!
নেই, চেনা নেই এমন এক পরপুরুষের সঙ্গে এমন আচরণ ফেটে
করতে পারে, ভাবতেও উৎসাহ পাওয়া যায় না। তার পশে বসেই
রূপসীটি তার গলটি জড়িয়ে ধরল। নিজের মুখটি তার মুখের কাছে
এগিয়ে নিয়ে গিয়ে আলতো করে চুম্বন করল। একবার নয়। পরপর
তিন বার। আমার ভাইয়া অল-আসার দেহে এক অবর্ণনীয় শিহরণ
অনুভব করল। রোমাঞ্চে ভরে উঠল তার প্রাণ মন। শিরা উপশিরায়
শুরু হল রক্তের মান
রূপসী-যুবতীর চোখে কামতৃষ্ণার সুস্পষ্ট ছাপ ফুটে উঠল।
তার সর্বাঙ্গ যেন অবশ হয়ে আসতে লাগল। কোনরকমে মখমলের
চাদর বিছানো পালঙ্কে গিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ল। তার দেহের
যৌবন চিহ্নগুলো যেন অল-আসারকে ঝাঁপিয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিতে
লাগল। তার পক্ষে আর দূরে থাকা সম্ভব হ’ল না। হিংস্র নেকড়ের
মত তার যৌবনভরা দেহটির ওপর অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল।
তারপরই শুরু হয়ে গেল ধস্তাধস্তি। যুবতীটি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এক
সক্ষম নওজোয়ানের কাছে নিজের রূপ-যৌবনকে সঁপে দিতে পেরে
কী যে এক অনাস্বাদিত আনন্দের জোয়ারে ভেসে চল্ল তা মুখের
ভাষায় প্রকাশ করা সাধ্যাতীত। ঘণ্টাখানেক ধরে তারা পারস্পরিক
চাওয়া-পাওয়া, দেওয়া-নেওয়ার মাধ্যমে চরমতম শান্তি-সুখ-
পরিতৃপ্তি লাভ করল। তারপর অল-আসারকে বসিয়ে রেখে
হুবর্তীটি ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। যাবার আগে বিশেষ করে বলে
গেল 'আবার কোথাও চলে যেয়ো না। আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত
এখানেই থেকো।'
রূপসী যুবতীটি ঘর ছেড়ে যেতেই অন্য এক দরওয়াজা দিয়ে
| ইয়া তাগড়া এক নিগ্রো বীরদর্পে সে-ঘরে ঢুকল। তার একহাতে
চাবুক আর অন্য হাতে সুমসৃণ এক ছোরা। কথা নেই বার্তা নেই ঘরে
ছুকেই সে অল-আসারকে অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে
সম্পং সপাং করে চাবুক মারতে লাগল। নিরবচ্ছিন্ন চাবুকের ঘা সে
বেশীক্ষণ সহ্য করতে পারল না। সংজ্ঞা হারিয়ে মেঝেতে লুটিয়ে
পড়ল।
নচ্ছার নিগ্রোটি ভাবল, অল-আসার-এর জান খতম হয়ে গেছে।
তার মোহরের থলিটি নিয়ে গুটি গুটি কেটে পড়ল।
নিগ্রোটি ঘর ছেড়ে গেলে এক ধুমসো নিগ্রো যুবতী একটি পাত্র
হাতে ঘরে ঢুকল। পাত্রটি লবণ পূর্ণ। চাবুকের আঘাতে অল-আসার-
এর গায়ের ছড়ে যাওয়া ক্ষতগুলিতে সে লবণ ছিটিয়ে দিতে লাগল
এমন সময় সে-বুড়িটি ছুটে এসে মায়া কান্না জুড়ে দিল। কপাল
চাপড়ে আমার ভাইয়ার দুরবস্থার জন্য কেঁদে আকুল হ'ল।
এবার মায়াবিনী বুড়িটি আমার ভাইয়ার নিঃসাড় দেহটিকে টেনে
হিচড়ে নিয়ে গিয়ে উঠোনের এক ধারের একটি ছোট্ট কুঠরির মধ্যে
রেখে এল।
এবাড়িতে রোজ যারা ঢোকে তারা আর জান নিয়ে ফিরে যেতে
পারে না। শয়তান নিগ্রোটি চাবুক মেরে কাহিল করার পর বাকি
কাজটুকু ছোরাটি দিয়ে মেরে দুনিয়া থেকে তাকে চালান দিয়ে দেয়,
তখন বুড়িটি নিয়ে যায় কুঠরিটিতে। নুন ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলে
সহজে পচে না। দুর্গন্ধও বেরোয় না।
অল-আসার দু' দিন সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কুঠরিটির ভেতরে পড়ে
থাকার পর সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে চোখ মেলে তাকাল। উঠে বসল।
আমার ভাইয়া জানে বেঁচে গেল।
তখন মাঝ-রাত্রি। জ্যোৎস্নার আলো জানালা দিয়ে ঘুপরির
ভেতর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে। বার কয়েক লাফালাফি করে সে জানালাটি
ধরতে পারল। এবার জানালা-পথে বাইরে বেরিয়ে এল।
ব্যস, এবার সোজা বাড়ি ফিরে এল।
আমি হেকিম ডেকে আনলাম। তিনি রোগীকে দেখে মোক্ষম
পাওয়াই দিলেন। তার গায়ের কাটা-ছেড়া ঘা শুকিয়ে গেল।
রোগ নিরাময়ের পর আমার ভাইয়া প্রতিশোধ নেয়ার জন্য
। প্রতিজ্ঞা করে বসল। কঠিন প্রতিজ্ঞা। বদলা সে নেবেই নেবে। সে
নোংরা রূপসী-যুবতী, নচ্ছার বুড়ি, শয়তান নিগ্রো আর তার ধূমসো
স্ত্রী কাউকেই সে রেহাই দেবে না।
*
আমার ভাই অল-আসার এক চমৎকার ফন্দি বের করল মাথা
= খাটিয়ে। দাড়ি-গোঁহ পারসীদের কায়দায় ছাঁটল। গায়ে চাপাল প্রায়
5 পায়ের পাতা পর্যন্ত নেমে আসা কোর্তা। বিশেষ কায়দায় তৈরি
পাৎলুন, পরল। গালের কাছে জুলফি লাগাল। তার মাথায় চাপাল
= পারসী-টুপী। কোর্তার পকেটে গুরুল আধ-ফোঁটা গোলাপ, পারসী
আতর ছিটিয়ে দিল কোর্তা, পাতলুন ও টুপী—সবকিছুতে। বাস,
2 একেবারে কেতাদুরস্তু পারসী সাহেব বনে গেল।
J
এবার অল-আসার হাজির হ'ল সে-বাড়িটির দরজায়। নচ্ছার
নবুড়িটিকে দরজায়ই পেয়ে গেল। পারসী কায়দায় সেলাম জানিয়ে
বুড়িকে পারসী ভাষায় জিজ্ঞেস করল- 'ধারে কাছে কোন
মণিকারের দোকান আছে কি?'
বুড়ি ধরেই নিল আগন্তুক যুবক পরদেশী। পারসী। পারসীরা
মোটা ধন-দৌলত নিয়ে ভিনদেশে আসে। অতএব এ-ও নির্ঘাৎ
ধনকুবের।
বুড়ির চোখ দুটো হঠাৎ জ্বল জ্বল করতে থাকে। বলে—'বাছা,
মণিকারের দোকান খোঁজ করছ কেন?’
—'আমি অতি সম্প্রতি একটি দ্রব্য বিক্রি করে নগদ ন’ শ’
সোনার দিনার পেয়েছি। সুযোগ পেলে যাচাই করে দেখতাম
দিনারগুলো কি আসল, নাকি – আর আমাদের পারসী মুদ্রায় এর
মূল্য কত তা-ও জানার ইচ্ছা।'
বুড়ি সোল্লাসে তাকে নিয়ে মণিকারের দোকানের উদ্দেশে পা-
বাড়াল। অল-আসার পথ চলতে চলতে কোর্তার ওপর থেকেই হাত
বুলিয়ে ছোরাটির অস্তিত্ব সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হয়ে নিল।
বুড়ি একটি বড়সড় মণিকারের দোকানের সামনে অল-
আসারকে ছেড়ে দিয়ে নিজে পথের ধারে দাঁড়িয়ে রইল। এতে বরং
তার সুবিধেই হ’ল। দোকানির সঙ্গে দু'-চারটে অপ্রয়োজনীয় কথা
বলেই বেরিয়ে এল।
বুড়ি এবার তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে এল সেই-যুবতীটির
বাড়ি। অল-আসার-এর অবশ্য এরকমই ইচ্ছে।
বুড়ি তাকে নিয়ে আগেকার সেই ঘরটিতে যায়। একটু বাদে
রূপসী-যুবতীটি আসে। পূর্বের সেই ভঙ্গিতে তিন-চার বার চুম্বন
করে। খাটের ওপর চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে। তারপর এক এক করে
পূর্ব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা পরে যুবতীটি দরজা
খুলে বেরিয়ে যায়। যাবার আগে বলে যায় ‘আবার যেন কোথাও
চলে যেয়ো না। আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত এখানেই থেকো।'
অল-আসার কোর্তার ওপরে হাত বুলিয়ে দেখে নিল, ছুরিটি
জায়গামতই আছে বটে। যুবতীটি বেরিয়ে যেতেই ছুরি ও চাবুক
হাতে সে গাট্টাগোট্টা নিগ্রোটি তেমনি হুঙ্কার দিয়ে বীরদর্পে ঘরে
ঢুকল। বাজখাই গলায় গর্জে ওঠে—'হারামজাদা, এখানে কেন
এসেছিস। কার হুকুমে অন্দর মহলে—'
নিগ্রোটির কথা শেষ হবার আগেই অল-আসার বল—'কেন
মিছে তড়পাচ্ছ? কেন এসেছি, ওই সুন্দরীকে জিজ্ঞেস করলেই
জানতে পারবে। এই তো তোমার পিছনে দাঁড়িয়ে, জিজ্ঞেস কর।'
নিগ্রোটি পিছন দিকে ঘাড় ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে অল্-আসার
কোর্তার তলা থেকে যন্ত্রচালিতের মত ছোরাটি বের করে তার পিঠে
আমূল গেঁথে দিল। পরমুহূর্তে নুনের পাত্র হাতে ধুমসী নিখো
মেয়েটি ঘরে ঢুকল । অল-আসার এক কোপে তার ধড় থেকে গলাটা
নামিয়ে দিল। এবার বুড়িটি এল আগের মতই নাচতে নাচতে।
দরজার আড়াল থেকে এক লাফে বেরিয়ে এসে অল-আসার তার
বুকে হোরাটি গেঁথে দিয়ে বলল – যেয়ে খব্দের ধরে নিয়ে আসার
শখ তোর চিরদিনের মত মিটিয়ে দিলাম হতচ্ছাড়ি!'
অল-আসার এবার এক লাফে ঘর থেকে বেরিয়ে সে রূপসী
যুবতীটিকে খুঁজতে লাগল। এমন সময় পাশের ঘরের চৌকির
তলায় কিসের যেন খট্ ক'রে শব্দ হ'ল। দরজায় দাঁড়িয়েই উপুড়
হয়ে উঁকি দিল। দেখল, তার বাঞ্ছিতা সে-যুবতীটি হামাগুড়ি দিয়ে
হারথরিয়ে কাঁপছে। তাকে দেখেই হাউমাউ করে কেঁদে বেরিয়ে
এল। তার পা দুটো জড়িয়ে ধরে বল্ল--- আমার কোন কসুর নেই।'
আমাকে এখানে শয়তানগুলো জোর করে আটকে রেখে ব্যবসা
ফেঁদেছে। আমার কাপ-যৌবনকে কাজে লাগিয়ে লাখ লাখ দীনার
কামাচ্ছে। কড়া পাহারা। বেরিয়ে যে চলে যাবো তার উপায় নেই।
অল-আসার সঙ্গে সঙ্গে হাতের ছোরাটিকে আর ব্যবহার করতে
পারল না। কলিজাটির মধ্যে হঠাৎ কেমন মোচড় মেরে উঠল। আর
কিছু না হোক, দু'দুটো দিন তার রূপ-যৌবনকে ভোগ করেছে।
নিবৃত্ত করেছে কাম-পিপাসা।
আমার ভাইয়া অল-আসার-এর দিল্ এবার কেমন দুর্বল হয়ে
যায়। যুবতীটিকে বল্ল – 'তুমি এখানে এলে কি করে?'
—'আমার নসীরে কথা আর বোলো না। ওই নচ্ছার বুড়িটিই
যত নষ্টের মূল। আমার জীবন একেবারে বরবাদ করে দিল। সে
তোমাকে যেমন ভুলিয়ে ভালিয়ে এনেছিল ঠিক তেমনি রোজ
একজন করে মরদ ধরে নিয়ে আসে নানা কৌশলে। তার সবকিছু
কেড়ে নিয়ে জানে মেরে দেয়। আমাদের ধরে এক সময় নোকরি
করত বুড়িটি। এক শাদীর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে একদিন তার সঙ্গে
যাচ্ছিলাম। আমার আব্বা আর আম্মা তাকে খুবই বিশ্বাস করতেন।
তাই নির্দ্বিধায় তাঁরা আমাকে তার সঙ্গে ছেড়েছিলেন। বুড়ি আমাকে
নিমন্ত্রণ বাড়িতে না নিয়ে কৌশলে এখানে নিয়ে এল। ব্যস, বন্দী
হয়ে গেলাম। নিগ্রো দস্যুটি আমাকে ধর্ষণ করে। হরণ করে আমার
সতীত্ব। তারপর ছোরা তুলে ভয় দেখায় আমি তাদের পছন্দ মত
লোককে দেহদান না করলে ধড় থেকে গর্দান নামিয়ে দেবে।'
আমার ভাইয়া অল-আসার এবার মুখ খুল্ল—— দেহ বিক্রি করে
এতদিনে তো দিনারের পাহাড় বানিয়ে ফেলেছ। সেগুলো এখন
কোথায় বল তো?'
—‘আছে। সবই মজুত আছে। ওই যে সিন্দুকটি দেখতে পাচ্ছ,
সবই ওটার মধ্যে জমিয়ে রাখা হয়েছে।'
আমি তাকে নিয়ে সিন্দুকটির কাছে গেলাম। আমি কিছু বলার
আগেই সে ব্যস্ত-হাতে সিন্দুকটির ডালা খুলে ফেল্ল। ভেতরে উঁকি
দিতেই আমার চোখ ঝলসে গেল। মূৰ্চ্ছা যাওয়ার উপক্রম হ'ল।
-
যুবতীটি বল্ল——মেহবুব, সোনার মোহর আর দিনারগুলো
নিয়ে চল, আমরা এখান থেকে চম্পট দেই।' কথা বলতে বলতে
সে এক দৌড়ে কয়েকটি বস্তা নিয়ে এল। সোনার মোহর ও
দিনারগুলো বস্তায় বোঝাই করল।
।
পেল্লাই ভারি হয়ে গেল বস্তাগুলি। আমার ভাইয়া অল-আসার
কুলি নিয়ে এল।
কুলি জোগাড় করতে যে সময়টুকু দেরী হয়েছে এরই মধ্যে
যুবতীটি সোনার মোহরের বস্তাটি নিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে চম্পট
দিয়েছে। খাঁচা ভেঙে পাখি পালিয়েছে।
ব্যাপার দেখে অল-আসার আশাহত হ’ল বটে। কিন্তু হাল
ছাড়ল না। ঘরের দামী জিনিসপত্র যা কিছু ছিল সব চট করে একটি
বস্তায় বোঝাই করে ফেল্ল। এবার দিনারের বস্তা ও জিনিস বোঝাই
বস্তুা দুটো ঘরে রেখে সদর দরজায় তালা ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়ল।
ভাবল, পরদিন দুটো খচ্চর এনে এসে বক্তা দুটো বাড়ি নিয়ে যাবে।
পরদিন খুব ভোরে দুটো তাগড়াই খচ্চর নিয়ে ফিরে এল। খচ্চর
দুটোকে সদর দরজায় বেঁধে সে বাড়ির ভেতরে ঢুকলো। বস্তা দুটো
টানা হেঁচড়া করে দরজায় আনতেই তার চক্ষুস্থির হয়ে গেল।
কলিজাটি মোচড় দিয়ে উঠল। দেখল, সিপাহীরা সারা বাড়িটি ঘিরে
ফেলেছে। তারা তাকে হাতকড়া পরিয়ে কোতোয়ালের কাছে নিয়ে
গেল!
কোতোয়ালের কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা দিল। তারপর
দিনার আর মূল্যবান মালপত্রের বস্তা দুটো এবং বাড়িটিতে যা কিছু
মূল্যবান জিনিস ছিল সব সে এবং কোতোয়াল ভাগাভাগি করে
নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। কোতোয়াল তাতে রাজি তো হলই না
উপরন্তু সিপাহী দিয়ে তাকে রাজ্যের বাইরে বের করে দেয়।
জিনিসপত্র আর মোহর বোঝাই বস্তা দুটো কোতোয়াল একাই ভোগ
করবে। কাউকে ভাগ দিতে সে মোটেই উৎসাহী নয়। তাই অল-
আসারকে ভিন দেশে চালান দিয়ে নিশ্চিন্ত হ'ল। আমি লোক মারফৎ
খবর পেয়ে গোপনে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসি। পাছে কেউ
টের পায় এ-আশঙ্কায় ঘর থেকে মোটেই বেরোতে দেই না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
জয় গুরু
বিশুদ্ধ প্রচারের স্বার্থে -
আপনার যে কোন মন্ত্যব, অভিযোগ, অনুরোধ আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান। ...