কিবা রূপের ঝলক দিচ্ছে দ্বিদলে।
সে রূপ দেখলে নয়ন যায় ভুলে।।
ফণি-মণি সৌদামিনী জিনি
                        এরূপ উজলে।।

            অস্থি-চর্ম শূন্যরূপ
            আছে মহারসের কূপ
                        বেগে ঢেউ খেলে।
ও তার এক বিন্দু অপার সিন্ধু
                        হয়রে এ ভূমণ্ডলে।
            দেহের দল পদ্ম যার
            উপাসনা নাই গো তার
                        কোথা কি মেলে।
তীর্থ-ব্রত যার জন্য এই দেহে তার
                        সব মেলে।।

            রসিক যারা সচেতন
            রস-রতি টেনে উজান
                        রূপ উদয় পেলে।
লালন গোঁড়া লেঙটি এড়া
                        মিছে বেড়ায় রূপ ভুলে।।

 

কথান্তর

‘বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ অন্তরার ‘স্বর্ণরূপ’ স্থলে ‘শূন্যরূপ’ কথান্তর আছে। তা ছাড়া সঞ্চারী ও আভোগ এভাবে লিখিত হয়েছেঃ
            উপাসনার নাই গো তার
            দেহের সাধন সর্বসার
            তীর্থ ব্রত যার জন্য
                        এ দেহে তার সব মিলে।।
            রসিক যারা সচেতন
            রস-রতি টেনে সে জন
                        রূপে উদয় খেলে।
            লালন গোঁড়া লেংটি এড়া
                        মিছে বেড়ায় রূপ ভুলে।।
বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ১০১-০২ ‘লালন গীতিকা’য় আভোগের ৩য় চরণ “উজ্জ্বল রূপে উদয় খেলে” রূপে লিখিত হয়েছে। পৃ. ৯৭